Header Ads

ছদাহার আর্ত মানবতার বেদিঁমূলে যাঁদের জীবন অর্ঘ্য রূপে নিবেদন করেছেন

ছদাহার আর্ত মানবতার বেদিঁমূলে যাঁদের জীবন অর্ঘ্য রূপে নিবেদন করেছেন, যাঁরা ছদাহার ক্ষুধাক্লিষ্ঠ আর্ত, দরিদ্র, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সহায় ও আশ্রয় ছিলেন, যাঁরা পিছিয়ে পড়া ছদাহার উন্নয়নে আমৃত্যু নিজেদের উৎসর্গ করে গেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ও স্বরণীয় ব্যক্তিত্ব শের - ই ছদাহা মরহুম আলহাজ্ব কেফায়াত উল্লাহ।
আলহাজ্ব কেফায়াতুল্লাহ ১৯৫২ সালে ছদাহার ঐতিহ্যবাহী মুফতি বাড়ির সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার ওয়াদুদল হকের পরিবারের দ্বিতীয় পুত্র হিসাবে জগৎসংসারের আলো দেখেন। তাঁর পিতামহ জমিদার মাওলানা কেরামত আলী ছিলেন একজন দানশীল ও গুণী ব্যক্তি। মাওলানা কেরামত আলী হলেন অবিভক্ত ভারতের মুফতিয়ে আজম মুফতি ইয়ার মুহাম্মদ (রহঃ) এর সুযোগ্য বংশধর।


মুফতি ইয়ার অল্প বয়সে ছদাহা থেকে হিন্দুস্তান হয়ে আরব দেশে চলে যান। আরবী ও ফারসি ভাষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করার পর ইসলামী বিশ্বের বুজুর্গানে দ্বীনের সাহচর্যে থেকে রুহানী কামালিয়াত হাসিল করে হিন্দুস্তানে চলে আসেন।
তদানীন্তন শাসক মুহাম্মদ শাহ তার জ্ঞান গরীমা এবং ইসলামী জযবাত দেখে তাকে অবিভক্ত ভারতের মুফতিয়ে আজম উপাধিতে ভূষিত করেন।

বর্তমান মুফতিপাড়ার নাম তার নামেই করা হয়েছে। এখানে তিনি চির নিদ্রায় শায়িত আছেন।
মাওলানা কেরামত আলী সমাজের কল্যাণে তাঁর সম্পত্তির ৪৩ ধুন ১৩ হানি ৩ গণ্ডা ওয়াকফ করে গেছেন। বর্তমানে এই সম্পত্তির মুতায়াল্লি হিসাবে কেফায়াতুল্লাহ এর মেঝ মেয়ে ফারজানা কেফায়াতুল্লাহ লুনা নিযুক্ত আছেন।
মরহুম কেফায়াতুল্লাহ এর কোন বিশেষণ ছিলো না। তিনি নিজেই নিজের বিশেষণ। তিনি একাধারে সমাজ সেবক, সমাজ সংস্কারক, শিক্ষানুরাগী, পরোপকারী, দানশীল, ধার্মিক ও যোগ্য এবং ন্যায়বিচারক ছিলেন। সকল মানবীয় ভালো গুণের সমাহার তাঁর মাঝে ছিল।

১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত টানা দীর্ঘ ১২ বৎসর স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনগণের সেবা করেছেন।
তিনিই হলেন মূলত আধুনিক, শিক্ষিত ও আলোকিত ছদাহার রূপকার।
স্কুল-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, মসজিদ - মক্তব নির্মাণ, রাস্তাঘাট তৈরি ও সংস্কার, অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন, ছদাহার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতায়িত করা ছিল তাঁর উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম ও সেবা।
তাঁর আমলেই ছদাহার মানুষ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয় এবং আধুনিক বিশ্ব ও যুগের সাথে পরিচিত হয়।
তাঁর বহুমুখী চিন্তাধারা ও সৃজনশীল কর্ম ছদাহা কে এগিয়ে দিয়েছে অনেক দূর। ছদাহার অচলায়তন জীর্ণতা ভেঙ্গে দিয়ে ছদাহার দিগন্তে দিয়েছেন নতুন রূপ, মানুষ কে দিয়েছেন নতুন পরিচয় ও স্বপ্ন।
তাঁর সৃষ্টিশীল কাজের সবচেয়ে বড় পরিচয় কে. ক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে অত্র এলাকার প্রথম ও একমাত্র হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করা। স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় তাঁর ক্রয়কৃত ও নিজস্ব জমিদান ছিলো চোখে পড়ার মতো।
বর্তমানে ছদাহার নব্য শিক্ষিত প্রজন্ম ও গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য এই স্কুলের গর্বিত ও কৃতি ছাত্র। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নিজে স্কুলের তদারকি করতেন। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছদাহার শিক্ষিতের হার বৃদ্ধি ও ছদাহার শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। ছদাহার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জ্ঞানের কিরণে আলোকিত করে দিচ্ছেন শত শত বিপথগামী তরুণ ও ছাত্রকে, অন্ধকার পথ থেকে দিচ্ছেন আলোর দিশা।

চলতি বছর যে ৪ জন শিক্ষার্থী A+ পেয়েছে সকলে এই স্কুলের কৃতি ছাত্র। এই স্কুল থেকে সৃষ্টি হয়েছে দেশ কাঁপানো মেধাবী ইলিয়াসের মতো মেডিকেল ছাত্র। এই স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ব্যাংকের কর্মকর্তা সহ অসংখ্য সরকারি বেসরকারি উচ্চ পদস্থ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা স্ব-পদে অধিষ্ঠিত ও প্রতিষ্ঠিত।

এছাড়াও তিনি ছদাহার অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ নির্মাণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাঁর আমলেই ছদাহার অধিকাংশ রাস্তা তৈরি করার পাশাপশি, ব্রিকস দিয়ে সলিং করা হয়। বর্তমানে মিঠাদিঘী সংলগ্ন ছদাহার যে স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে সেটাও তিনিই নির্মাণ করেন।
ছদাহা মোহাম্মদীয়া খাইরিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদানের পাশাপাশি বর্তমানের দ্বিতল ভবন তিনিই নির্মাণ করে দেন।
এছাড়াও বর্তমানে মাদ্রাসায় ছদাহা মোহাম্মদীয়া খাইরিয়া কেফায়াতুল্লাহ এতিম ও হেফজখানা খানা নামে একটি প্রতিষ্ঠান কেফায়াতুল্লাহ ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
মরহুম কেফায়াতুল্লাহ ছিল গণমানুষের নন্দিত নেতা ও ভালবাসার পাত্র। তিনি ছিলেন সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তাঁর ১২ বছরের জনপ্রতিনিধিত্ব ছিলো ছদাহার স্বর্ণালী অতীত।
লোকমুখে শোনা যায়,

তাঁর আমলে ছদাহায় চোর ডাকাত ছিলো না। মাঝেমধ্যে যে উপদ্রব দেখা যেত তিনি স্বহস্তে দমন করতেন। তাঁর আমলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোন অভিযানের আগে অবহিত করতে হতো। কোনদিন নিরাপরাধ কোন ব্যক্তিকে হয়রানি বা জেল জুলুমের সাহস কেউ করে নি।

তাঁর একটি স্কুটার ছিলো। তিনি এটা নিয়ে এই গ্রাম ঐ গ্রামে চষে বেড়াতেন। তাঁর মৃত্যুর পর অনেক দিন বদরুল আমিনের ছেলে আনোয়ার কাইছারের কাছে ছিল, বছরখানেক আগে বেচে দিয়েছেন। তিনি মানুষের দুঃখ দুর্দশার কাহিনী শুনতেন। প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করতেন। নিঃসঙ্কোচে তাঁদের সাথে মেশতেন। মানুষ কে আপন করে নিতেন। এতে ছিলো না আবেগের আতিশয্য কিংবা ভাবের কৃত্রিমতা। স্বভাবসুলভ বিনয়ী আচরণে সবাইকে মুগ্ধ করে রাখতেন।
তিনি সমাজ ও শ্রেণী বৈষম্যের মূলে আঘাত করে ছদাহার উঁচুনিচু পার্থক্য ভুলিয়েছেন।
তিনি মসজিদে গিয়ে যেমনি ইমাম কে বুকে জড়িয়ে নিতেন তেমনই মসজিদ থেকে বেরিয়ে কাদাময় কৃষক আপন মনে বুকের মধ্যে জড়িয়ে নিতেন।

সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের সাথে ছিল তাঁর আনাগোনা যাতায়ত। তাঁর কাছে সব মানুষই সমান! "Man is above all, none is above man "

তিনি খুবই সাধারণ ও সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। সেটা তাঁর বাড়ি দেখলে, ঘুরে আসলে বুঝতে পারবেন।
কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, "বার্ধক্য কে বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না। " সত্যিই তো!!!
সেটা মরহুম কেফায়াতুল্লাহ কে খুব কাছ থেকে না দেখলে কখনো বুঝতাম না। জীবনের শেষ বেলায় এসেও তিমিরাচ্ছন্ন শর্বরী কে তারুণ্যের আলোক ছটায় আবার রাঙাতে চান। শেষ বয়সে এসেও তিনি ছিলেন চরম রসিক ও সদ্য কৈশোর থেকে তরুণের দলে পদার্পন করা তারুণ্যের অসীম শক্তিতে বলীয়ান। তিনি ছোটকাল থেকে প্রচন্ড সাহসী ও ত্যাগী ছিলেন। এই বিষয়ে একটা ঘটনা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না।

একুশ শতকের প্রথম দিকে ৪ কী ৫ সালের কথা। ফকিরহাট ছিলো ছদাহার ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র!! ফকিরহাট কে ছদাহার রাজধানী বললেও অত্যুক্তি হবে না। ঐতিহ্য ও ব্যবসায়িক মর্যাদা কিছুটা ম্লান হলেও এখনও অবশ্য আছে। একদিন রাতের আন্ধারে ডাকাত দল ফকিরহাট আক্রমণ করেছে। সেইদিন ডাকাতদের আঘাতে একজন নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। দু একদিন গরম জিলাপির ন্যায় এটা কে প্যাচাঁই প্যাচাঁই ঘটনা কে সরব করে রেখেছে, সাথে বাজার। কিন্তু, মূল সমস্যা যা ঘটলো কয়েকদিন পরে। বাজারে আর দারোয়ান কিংবা নৈশপ্রহরী পাওয়া যায় না। বাজার যেন কলেরা মহামারীতে ছেয়ে গেছে। তখনই শের - ই ছদাহা কেফায়াতুল্লাহ এই প্রসঙ্গে বলে উঠলেন, " তোমরা কত টাকা আর আয় করো, আমাকে রাখবে? কত টাকা দিতে পারবে? আমি একা থাকবো!!! দেখি ডাকাত কোত্থেকে কিভাবে আসে? " এই বলে একগাল হেসে নিলেন।

তিনি ছোটদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন, ভালবাসতেন। পরম মমতায় কাছে টেনে নিতেন। এই অকৃত্রিমতা বলা যাবে! কিন্তু বুঝানো যাবে না। সেইসময়ের ছোট হিসাবে আমিও এর উত্তম অংশীদার ছিলাম। তাঁর সাথে অসংখ্য স্মৃতি জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠিতেছে।

গ্রামে থাকলে ফজরের নামাজ পরে সকালের নাস্তা করতে নিয়মিত এস.আই টেলিফোন সেন্টারে চলে আসতেন। কখনো দোকানের সেগুন গাছের চেয়ারে কখনো সোফায় বসতেন। আমি সোফার কর্ণারে করে ওনি আসার আগেই বসতাম। বইখুলে বসতাম অথবা বই নিয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম। মাঝেমধ্যে তিনিই ডেকে দিতেন। কি পড়ছি!! ভালোমতো খোঁজখবর রাখতেন। এই আসা যাওয়ার মধ্যে যেদিন আমার পরীক্ষা থাকতো সেদিন অবশিষ্ট টাকা ফেরত নিতেন না। পুরা ৩ টাকা বা ২ টাকা আমাকেই দিয়ে দিতেন। সেসময়ে ৩ টাকা কম কী? তাঁর ২ চাকা ৪ চাকার গাড়িতে আমার অনেক ভ্রমণ কাহিনী আছে। সেটা থাক!!! আর একদিন হবে।

ব্যক্তিগত জীবনে ৬ সন্তানের জনক ছিলেন মরহুম কেফায়াতুল্লাহ। আল্লাহ নাকি সবাইকে সব দিক দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেন না। কিছুটা অপূর্ণতা রেখে দেন। তাঁর ধন - মান, সম্পদ, যশ, খ্যাতি, গণ মানুষের ভালবাসার কোন অভাব ছিলো না। কিন্তু, এতো পূর্ণতার ভিড়েও একটি অপূর্ণতা ছিল। সেটা হলো বংশের প্রদীপ জ্বালানোর মতো কেউ না থাকা। এই জন্য তাঁর আফসোসের অন্ত ছিলো না।

তবে, বেঁচে থাকলে আপসোসের স্বর পাল্টে গর্ব করেই বলতেন তাঁদের সফলতার গল্প। বর্তমানে তাঁর মেয়েদের সবাই উচ্চশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত। তাঁরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে স্বদেশের আলো ছড়াচ্ছে প্রাচ্য থেকে পশ্চিমে।
পরিবারের দ্বিতীয় মেয়ে ফারজানা কেফায়াতুল্লাহ লুনা। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সফলতার সাথে ৫ বৎসর দায়িত্ব পালন করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে। প্রথম বৎসরেই ৯ কোটি টাকা অনুদান আনতে সমর্থ হন। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার এশিয়া ইউনির্ভাসিটি থেকে " উইমেন ইমপাওয়ারমেন্ট " বা " নারীর ক্ষমতায়ন " নিয়ে পিএইচডি করছেন। দায়িত্ব পালন করছেন কেফায়াতুল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক হিসাবে। পৈত্রিক সম্পত্তি ও ব্যবসা দেখাশুনার পাশাপাশি ২ টি ডেভেলপার কোম্পানির পরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

পরিবারের তৃতীয় মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী সানজিদা কেফায়াতুল্লাহ দিনা, আইটি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে বর্তমানে সেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আইটি ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত আছেন।
পরিবারের চতুর্থ মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী ফৌজিয়া কেফায়াতুল্লাহ মিতু। তিনি সেখানে CE নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন।

পঞ্চম মেয়ে শারবিনা কেফায়াতুল্লাহ মুন। তিনিও আমেরিকা প্রবাসী। সেখানে আইটি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে বেসরকারি নামীদামি একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে চাকরি করছেন।
পরিবারের সবার ছোট মেয়ে তানজিলা কেফায়াতুল্লাহ। তিনিও বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। তবে, কে .ক উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছুদিন পড়াশোনা করেছিলেন। বর্তমানে তিনি ব্যাচেলর অব মেডিসিন ব্যাচেলর অব সায়েন্স (এমবিবিএস) পড়ছেন।

মরহুম কেফায়াতুল্লাহ ২০০৬ সালের ২৬ই মে ভারতের একটি হাসপাতালে রোজারত অবস্থায় ওপেনহার্ট সার্জারির সময় শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে ছদাহার মানুষ শোকাহত হয়ে পড়েন। আয়েশা জনকল্যাণমূলক ট্রাস্টের মাটে জানাজার পর তাঁকে পারিবারিক কবরস্থান নল্লা পুকুরের পাড়ে দাফন করা হয়। এখানেই তিনি চির নিদ্রায় শায়িত আছেন।

সকলে তাঁর আত্মার মাগফেরাতের জন্য মন থেকে দোয়া করবেন।
আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুক।
আমিন!!!!

প্রকাশক :  ওয়াহিদুল ইসলাম

No comments

Powered by Blogger.