Header Ads

ছদাহা কেঁওচিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন কারী পল্লী চিকিৎসক ডাঃ ওসমান গণি। (জীবণ কাহিনী)

ছদাহা কেঁওচিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন কারী পল্লী চিকিৎসক ডাঃ ওসমান গণি।

দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতন গম্ভীর প্রকৃতির ডাঃ ওসমান গণি একাধারে শিক্ষক, চিকিৎসক ও সমাজ সেবক।
৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে ছদাহার প্রত্যন্ত গ্রামে রাত বিরাইতে ঝড় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।
উৎসব পালা পার্বণে স্কুল কলেজ অফিস বন্ধ হয়েছে! কিন্তু, একদিনের জন্য ও তার ফার্মেসির দোকানে তালা ঝুলে নি! হয়নি দোকান বন্ধ। শিডিউল মেনে একাধারে একটি দোকানে কাটিয়েছেন ৩৫ টির বেশি বসন্ত।
তাঁর থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন নি ছদাহায় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। মুসলমান দের অন্যতম সুন্নত গ্রুপের অধিকাংশ মেম্বার দের " খৎনা " তাঁর হাতে হয়েছে। এক, দুই দশ টাকা করে বাকী দিয়েছেন দশ লাখ টাকার অধিক। তাঁর বকেয়া পরিশোধ না করে অনেকেই পরপারে গত হয়েছেন। এখনও দিয়ে যাচ্ছেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাতকানিয়া কলেজ থেকে বিএসসি পাস করে বিখ্যাত স্কুল গোলাম বারী হাইস্কুলের গণিতের শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে কয়েকটি স্কুল পরিবর্তন করে যোগদান করেন বাড়ির পার্শ্ববর্তী স্কুল ছদাহা কেঁওচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ।
তিন দশকের বেশি সময় আলোর মশাল জ্বালিয়েছিলেন স্কুল ও গ্রামে। ছাত্রদের বইয়ের অংকের পাশাপাশি শিখিয়েছেন জীবনের অংক! ছাত্রদের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটিয়ে শিখিয়েছেন নীতি-নৈতিকতা ও জীবনাদর্শ। তার আদর্শে আলোকিত হয়ে অনেকেই আজ ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন কে করেছেন বর্ণাঢ্য।
নিজের মতো করে সন্তানদের বড়ো করেছেন! উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে করেছেন সুপ্রতিষ্ঠিত।
বড় ছেলে মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি ও এমএসসি পাস করেছেন। বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন নগরীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি স্কুল এণ্ড কলেজে। মেঝ ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএস এ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে বিএ (অনার্স) ও এমএ পাস করেছেন। বর্তমানে তিনি কবির স্টিল রি - রোলিং মিলস ( কেএসআরএম) এ সম্মানজনক ও উচ্চ পদে কর্মরত আছেন।
ছোট ছেলে দিদারুল ইসলাম কে ও উচ্চ শিক্ষিত করে নিজের ঐতিহ্য ব্যবসা ও পেশার হাল ধরিয়েছেন।

তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

(প্রকাশক: ওমর ফারুক)

No comments

Powered by Blogger.